দৈনিক প্রত্যয় ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া থেকে ২৫ জন যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসা একটি ট্রলার মাঝ পদ্মায় ডুবে যায়। তবে পদ্মা নদীতে মাছ ধরা নৌকা এগিয়ে এসে যাত্রীদের উদ্ধার করার কারণে তারা প্রাণে বেঁচে যায়। উদ্ধার হওয়া যাত্রীদের অভিযোগ ধারণ ক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে পাটুরিয়া থেকে ট্রলারটি ছেড়ে আসার সময় মাঝ নদীতে ঢেউয়ের কারণে ট্রলারটি ডুবে যায়।
মঙ্গলবার সকালে পদ্মা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। তবে ট্রলার ডুবির ঘটনায় কোন নিখোঁজের খবর পাওয়া যায়নি। স্থানীয়রা জানায়, ফেরিতে যাত্রী পারাপারের ব্যাপারে কড়াকড়ির কারণে যাত্রীরা বিকল্প উপায় হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ ট্রলারে পারাপারের পথ বেছে নিচ্ছে। উদ্ধার হওয়া যাত্রীরা ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ফরিদপুর ও রবিশালসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছিল বলে জানা যায়।
উদ্ধার হওয়া দুই যাত্রী বলেন, মঙ্গলবার ভোরে তারা ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে পাটুরিয়া ঘাটে আসেন। সেখান থেকে ফেরিতে উঠতে না পারার কারণে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে ওঠেন। তবে ট্রলারে ১০-১২ জন ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ২৫ জনের মতো যাত্রী উঠেন। ট্রলারটি মাঝ নদীতে পৌঁছলে মাঝি ভাড়া তোলার জন্য দাঁড়ালে ট্রলারটি ডুবে যায়।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার আব্দুর রহমান বলেন, সকালে পদ্মা নদীতে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। স্থানীয়দের সংবাদের ভিত্তিতে আমরা সেখানে পৌঁছায়, তবে নিখোঁজের কোনও তথ্য না থাকায় আমরা উদ্ধার তৎপরতায় অংশগ্রহণ করিনি।
দৌলতদিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বলেন, যাত্রী পারাপার রোধ করার জন্য পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। তবে পাটুরিয়ার বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা দৌলতদিয়া আসছেন। তিনি আরও বলেন, ঢাকা থেকে যাত্রী আসা বন্ধ করতে না পারলে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া থেকে যাত্রী ঠেকানো সম্ভব নয়।
ডিপিআর/ জাহিরুল মিলন